স্টাফ রিপোর্টার
মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পরও গ্রেফতার হয়নি গৃহব/ধূ নন্দিতা সরকার হ/ত্যাকান্ডের আসা/মিরা।ম/র্মস্প/র্ষী এ হ/ত্যাকান্ডের আসা/মিরা গ্রেফতার না হওয়ায় বা/দীপক্ষের লোকজন ক্ষো/ভ প্রকাশ করেছেন।
এ মামলার বাদী নিহতের ভাই উজ্জ্বল সরকার তার বোনের নির্ম/ম হ/ত্যাকা/ন্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সূত্রে জানা গেছে, নিহত নন্দিতা সরকার নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পুটিমারি গ্রামের নিতাই সরকারের মেয়ে। মাত্র আটমাস আগে লোহাগড়া উপজেলার রামপুর এলাকার গোপাল রায়ের ছেলে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসায়ী মিঠুন রায়ের (২৫) সঙ্গে নন্দিতার বিয়ে হয়। নন্দিতার সঙ্গে মিঠুনের প্রে/মজ সম্পর্ক গড়ে উঠার পর দু’জনের মধ্যে বিয়ে হয়। তাদের দু’জনের বিয়ে হলে নন্দিতা অনেক সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে বিয়ের আগে মিঠুনের পক্ষ থেকে এমন সব আশ্বাস দেয়া হলেও বিয়ের পর তার উল্টোটা ঘটতে থাকে।
বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝ/গড়া-ক/লহ লেগে থাকতো। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিঠুন তার স্ত্রী নন্দিতার উপর শারি/রীক ও মান/সিক নি/র্যাতন চালাতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিঠুন রায়ের এক নারী প্রতিবেশী জানান, ঘটনার দিনও মিঠুন ও নন্দিতার মধ্যে ঝগ/ড়া হয়েছে। নন্দিতাকে মিঠুন ব/কাঝ/কা করলে আমি প্রায় তাদের বাড়িতে এসে দু’জনকে বুঝাতাম বলে ওই নারী বলেন।
নন্দিতার ভাই ও মামলার বাদী উজ্জ্বল সরকার জানান, বিয়ের পর তার ছোট বোনের স্বামী মিঠুন ও পরিবারের সদস্যরা যৌ/তুক দাবী করে নন্দিতাকে মা/রধ/রসহ মানষিক নির্যাতন শুরু করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক ক/লহের জের ধরে নন্দিতাকে মা/রপি/ট করতো মা/দকাসক্ত মিঠুন ও পরিবারের লোকজন।নি/র্যাতন সইতে না পেরে নন্দিতা স্বামীর বাড়ি থেকে কয়েকবার পিতৃালয়ে চলে যায়।
দু’পরিবারের সদস্যরা বসাবসি করে আবার নন্দিতাকে স্বামীর বাড়ি ফিরিয়ে আনে। নতুন করে নন্দিতার উপর শুরু হয় মান/সিকক নি/র্যাতন। গত ১ আগষ্ট রাত ১১টার দিকে মা/দকাসক্ত মিঠুন ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার বোনকে হ/ত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে কাপড় পে/চিয়ে গ/লায় ফাঁ/স দিয়ে ঝু/লিয়ে রেখে নন্দিতাকে আ/ত্মহ/ত্যা করে বলে জানায়। ঘটনার পর নন্দিতার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা দা/য়সারাভাবে তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে ফে/লে দ্রুত পালি/য়ে যায়। ঘটনা উল্লেখ করে নন্দিতার ভাই উজ্জ্বল সরকার বাদী হয়ে গত ২ আগষ্ট লোহাগড়া থানায় মা/মলা দা/য়ের করেছেন।
এ দিকে বিয়ের ৮মাসের মাথায় নন্দিতার অকাল মৃ/ত্যুকে পরিবারের সদস্য, স্বজন কিংবা প্রতিবেশী কেউই মেনে নিতে পারছেন না।তরতাজা তরুণী নন্দিতা শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নি/র্যাতনের কাছে হেরে গিয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন একথা ভাবতেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন তার মা কবিতা সরকার, বাবা নিতাই সরকার ও ভাই উজ্জ্বল সরকারসহ স্বজনরা। দু’ভাই ও তিনবোনের মধ্যে সবার ছোট ও আদরের ছিলেন নন্দিতা। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে জীবনযু/দ্ধে হেরে পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য এসএসসি পরীক্ষার্থী নন্দিতা পরপারে চলে যাবে একথা কেউ কখনো ভাবতে পারেনি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন জানান, মৃ/ত নন্দিতা সরকারের ম/য়না ত/দন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বোঝা যাবে এটি হ/ত্যা না আ/ত্মহ/ত্যা। এ ঘটনায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মা/মলা দা/য়ের হয়েছে। তদ/ন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার আসা/মিদের গ্রেফতারে জো/র চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।