স্টাফ রিপোর্টার
“পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে” নড়াইলে অর্ধশত পরিবার অধিগ্রহনকৃত জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় রেল লাইন নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন । মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে নড়াইল সদরের তুলারামপুুর ব্রীজের পশ্চিম পাশে ক্ষতিগ্রস্থরা বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দেয়, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন । খবর পেয়ে সদও থানা পুলিশ ও ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সূষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে নড়াইল-যশোর রেল লাইনের কাজের জন্য তুলারামপুর এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙ্গতে বুলডোজার নিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষেপে গিয়ে নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে তুলারামপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ নিউটন শেখ জানান, তার বংশের ৫টি পরিবার এখনও জমি এবং স্থাপনার মূল্য পায়নি। জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহন শাখায় গেলে অফিসের দুজন কর্মচারি আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে ঘুরিয়েছে। একই মৌজায় দু’জন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি তাদের জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ পেলেও আমরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি না।
ক্ষতিগ্রস্থ বাবুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের পর দুপুরে জেলা প্রশাসক মহোদয় তার অফিস কক্ষে আমাদের ডেকে নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জমি ও বিভিন্ন স্থাপনার যে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেটা নিতে বলেন এবং সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানে নিষেধ করেন। এ সময় আমরা ক্ষতিপূরনের টাকা পুনর্মূল্যায়নের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক পুনঃনির্ধারিত টাকা পাওয়ার দাবি করলে তিনি তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে গত সোমবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাস চন্দ্র বোস, সহ-সভাপতি নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা প্রমুখ তুলারামপুর এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি সমাধানের সুপারিশ করেন।
উল্লেথ্য, “পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের” আওতায় ঢাকা-নড়াইল-যশোর রেল লাইনে নড়াইল অংশে ২২কিঃমিটার লাইনের কাজের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহন শাখা বিভিন্ন মৌজার জমির সাথে সদরের ৭৯নং তুলারামপুর মৌজায় অবস্থিত অর্ধশত বাস্তুভিটা ও বাড়ি এবং ধানি জমির মূল্য নির্ধারণ করে। এ সময় বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক তাদের স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় জেলা প্রশাসকের কাছে পূনরায় মূল্যায়নের আবেদন করলে নড়াইল গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষ গত বছরের (২০২০) ৫ মার্চ যাচাই-বাছাই করে ১৯ আগস্ট পূনরায় মূল্য নির্ধারণ করে এক প্রতিবেদন দেন। কিন্তু এতোদিনেও ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণ পাননি।