নড়াইলের লোহাগড়ায় ড্রাগন চাষের বিপুল সম্ভাবনা

3
12
নড়াইলের লোহাগড়ায় ড্রাগন চাষের বিপুল সম্ভাবনা
নড়াইলের লোহাগড়ায় ড্রাগন চাষের বিপুল সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় ড্রাগন চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন উপজেলার শালনগর ইউপির বাতাসী গ্রামের ড্রাগন চাষী অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রওশন আলী। নিজ উদ্যোগে বাড়ির পাশে ১একর জমির ওপর ৩ হাজার অধিক ড্রাগন চারা রোপন করে অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বর্তমান ফল ধরতে শুরু করেছে বাগানে। এছাড়া বাগানে তিনি ১ হাজার বলসুন্দরী ও কাশ্মিরী জাতের কুল এবং ৮শত দেশী ও সিডলেচ জারে লেবুর চারা লাগিয়েছেন। বাগানটিকে তিনি মুজিব শতবর্ষে উৎসর্গ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শালনগর ইউপির বাতাসী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রওশন আলী বিভিন্ন কৃষি ভিত্তিক অনুষ্ঠান ও ইউটিউব দেখে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন। ড্রাগন আমেরিকার ফল হলেও বর্তমান এশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে এ ফল পাওয়া যায়।

সৈয়দ রওশন আলী জানান, এবছর জানুয়ারী মাসে জমি প্রস্তুত করে ৫শত ৩২টি কনক্রিটের পিলার পুতে তার ওপর সাইকেলের টায়ার দিয়ে পিলারের গোড়ায় ৪/৫টি করে চারা রোপন করেন। ড্রাগন চাষে এ পর্যন্ত তিনি চারা ক্রয় ও রোপন লেবার বাবদ ৪ লক্ষ, পিলার তৈরী বাবদ ৬লক্ষ, বেড়া নির্মাণে ২লক্ষ ৫০হাজার ও অন্যান্য ১লক্ষ ৫০ হাজার মোট ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। ৮/৯ মাস বয়স থেকে প্রতিটি গাছে ফল এসেছে। ৫৩২টি পিলারে ৪/৫টি করে ফল এসেছে যাতে প্রায় আড়াই হাজার ফল হবে। এর ২ থেকে ৩ টি ফলে ১কেজি ওজন হয়। সুস্বাধু এ ফলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রথমবার বাগান থেকে ৮শত থেকে ৯শত কেজি ফল উত্তোলন করা হবে বলে তিনি মনে করেন। যার বাজার মূল্য হবে ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা । ১কেজি ড্রাগন ফল বাজারে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শত টাকা বিক্রি হয়। বছরে ৩/৪বার ফল উত্তোলন করা গেলে ১ বছরেই বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে। এর পর শুধু পরিচর্যা করে ২৮ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত উদ্যোক্তা সৈয়দ রওশন আলী বাগান থেকে লাভবান হবেন বলে ও জানান। তার এ ড্রাগন ফলের বাগান দেখার জন্য উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন ভিড় করছে।

ড্রাগন চাষ সম্পর্কে লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রইস উদ্দিন বলেন, ড্রাগন চাষের জন্য উচু জায়গা এবং দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। লোহাগড়ার মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। তিনি আরো বলেন, বাতাসী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রওশন আলী ড্রাগন চাষের জন্য যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমার পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।