স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিং/সতা থামছেই না। একের পর এক নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের জ/খম করছে পরাজিত প্রার্থীর লোকেরা। এবার পরাজিত প্রার্থী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের বহি/ষ্কৃত সভাপতি উজ্জ্বল শেখ নিজে উপস্থিত থেকে স/ন্ত্রা/সী নিয়ে হা/ত-পা ভা/ঙ্গলো গোবরা প্রগতি বিদ্যাপিঠের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি ও ইউনিয়ন আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মিশকাত হোসেনকে। তিনি নির্বাচনের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। সদর থানার ওসির আশ্বাসে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বের হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় বড়গাতি বাজার থেকে তাকে বে/ধড়ক পি/টিয়ে হা/ত-পা ভে/ঙ্গে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার থানায় মা/মলা হয়েছে এবং পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো বড়গাতি গ্রামের রওশন (৩৫), গোবরা গ্রামের মিশর (৩০) এবং শুভারঘোপের ফয়সাল (৩৫)।
সদরের গোবরা গ্রামের মুনছুর শেখের পূত্র আহত আ’লীগ নেতা মিশকাত হোসেন (৪০) জানান, ইউপি নির্বচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় ৭ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে ধরতে আমার স্কুলে যায়। পরে সে দেয়াল টপকিয়ে প্রাণ রক্ষা করি। বিষয়টি সদর থানার ওসিকে জানালে তার পরামর্শে জিডি করলেও জীবন বা/চাতে পা/লিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। মঙ্গলবার দুপুরে ওসি মহোদয়ের সাথে থানায় দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে নিরাপত্ততার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্ত সন্ধ্যায় বড়গাতি বাজারে পাওনা টাকা আনতে গেলে পরাজিত প্রার্থী বিগত পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ নেতৃত্বে ১২-১৪জন পি/স্ত/ল ঠে/কিয়ে হা/তুড়ি, র/ড দিয়ে জ/খম করে আমার ডান হা/ত ও ডান পা ভে/ঙ্গে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৪ ডিসেম্বর গোবরা বাজারের ধান-পাট ব্যবসায়ী আনোয়ার মোল্লাকে উজ্জ্বলের লোকজন তার দোকান থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছি/নতাই করে দু’পা ভে/ঙ্গে দেয়। এখন তিনি যশোর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় উজ্জ্বলসহ ১২জনের বিরুদ্ধে থানায় মা/মলা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৩দিন পর ১৪ নভেম্বর উজ্জ্বলের লোকজন সিঙ্গা বাজারের নৌকার সমর্থক ব্যাবসায়ী সানোয়ারকে দোকানে ঢুকে বে/ধড়ক পি/টিয়ে আহত করে।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হিটু বলেন, উজ্জ্বল শেখ আ’লীগ নেতা-কর্মীসহ নৌকার সমর্থকের ১৫জনের একটি তালিকা করে তাদের হু/মকি-ধম/কি দিচ্ছে। এদের ১০জনের বেশী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া বড়গাতি, গোবরা ও নলদির চর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে গা/লিগা/লাজ করে ও ভ/য়-ভী/তি দেখাচ্ছে। এসব ঘটনায় তিনি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ বলে, বড়গাতি বাজারে গ্যা/নজাম (মা/রামারি) হয়েছে শুনেছি। যারা মে/রেছে তারা আমার পক্ষের লোক, একথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে ঘটনার সময় আমি ছিলাম না।
সদর থানার ওসি মোঃ শওকত কবির বলেন, আমি নিজে উজ্জল শেখকে স/হিং/সা পরিহার করতে মঙ্গলবার ফোন করার পরও সে শোনেনি। উজ্জ্বল নিজে এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল। এ ঘটনায় উজ্জ্বলকে প্রধান আসা/মি করে ১২জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সব আসা/মিকে ধরে ফেলবো।