প্রসঙ্গ বই পড়া

6
4
প্রসঙ্গ বই পড়া
প্রসঙ্গ বই পড়া

মীর আব্দুল গণি, জার্মানি প্রবাসী

বই নিঃসন্দেহে জ্ঞানের ভান্ডার। বই পড়লে জ্ঞান অর্জন করা যায় কিন্তু জ্ঞান প্রয়োগের রয়েছে কল্যাণকর ও অকল্যাণকর দুটি দিক। অর্জিত জ্ঞান কল্যাণ সাধনে সহায়ক হবে জ্ঞানার্জনকারী এমন নিশ্চয়তা দান করেন না। হিটলার প্রচুর বই পড়তেন। তার আচরণ বিশ্ববাসী জানেন।

জ্ঞানের প্রয়োগ নির্ভর করে ব্যক্তির বোধ-চেতনা উৎসারিত আচরণ উপলব্ধির উপর। প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ তাঁর একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন-
বই পড়ার উদ্দেশ্য তিনটি। নিজেকে তুলে ধরা বা জাহির করা (অহমিকা) শক্তি সঞ্চয় করা ও নিজেকে বিকশিত করা। (বহুদিন পূর্বে পড়া, স্যারের বর্ণিত ভাষা হুবহু উল্লেখ করতে না পারাতে দু:খিত।) নিজেকে বিকশিত করে তোলার সক্ষমতা সবাই নিজে নিজেই অর্জন করতে সক্ষম হন না। কোটিতে কচিৎ, ব্যতিক্রম। কাঙ্খিত বিকাশের জন্য বদলাতে হয় বা রূপান্তরিত হতে হয়- যার একমাত্র উপায় হলো প্রক্রিয়াজাত শিক্ষা।

বই বিতরণ প্রসঙ্গ

শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকার বই বিতরণ করছেন, সরকারের এ আন্তরিকতা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। কিন্তু বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষাদানে অনভিজ্ঞ শিক্ষক ও প্রক্রিয়াহীন শিক্ষাদান ব্যবস্থায় কোটি কোটি টাকার বই দান কোনো সুফল বয়ে আনতে পারবে কি? পারবে না।

বুঝতে হবে- বৃক্ষ চারার মূলে সার ও জল যতই দেওয়া হোক না কেন প্রক্রিয়া ব্যতিরেকে বৃক্ষ চাড়া আপনা থেকে বনসাঈ-এ রূপান্তরিত হয় না বা কাক্সিক্ষত অবয়ব ধারণ করে না। শিক্ষার কাঙ্খিত ফল নির্ভর করে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার উপর।

বই বিতরণে সাশ্রয় পন্থা

উন্নত দেশে বিশেষ করে জার্মানিতে দেখা যায়, সরকার যেসকল বই শিক্ষার্থী দের বিতরণ করেন তা এককালীন নয়। বই কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অবহিত করা হয় যাতে বইগুলো পরবর্তিতে ব্যবহারযোগ্য রাখে এবং বছর শেষে বিদ্যালয়ে ফেরত দিতে হয়। ফলে একই বই প্রতি বছর পুন:মুদ্রণ করতে হয় না। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হয়ে থাকে। চলবে…পূর্ব লেখাঃ

শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের ধারণা