স্টাফ রিপোর্টার
দেশে ওমিক্রনের প্রাদূর্ভাব বাড়ার সাথে হাড়কাপানো শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে নড়াইলের কালিার গ্রাম গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি-জ্বরসহ গা-ব্যাথা। প্রতিদিনই বাড়ছে ওইসব রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে উপজেলার অসংখ্য মানুষ ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে। জ্বরাক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তারা করোনা পরীক্ষা করতে নারাজ। আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক।
কালিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দেশে ওমিক্রনের প্রাদূর্ভাব বাড়ার সাথে উপজেলার গ্রাম গুলোতে সর্দি-জ্বর ও গা-ব্যথায় আক্রান্তদের একটি ক্ষুদ্র অংশ হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই করোনার পরীক্ষা করতে রাজি হচ্ছেন না। তবে গত ১০ দিনে ৪৪ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত বেশীরভাগ মানুষই স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তারা সুস্থ্য হয়ে উঠছেন।
উপজেলার কলাবাড়িয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক এসকে মুফিজুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে তারা প্রতিদিনই প্রায় ১০/১৫ জন সর্দি-জ্বর ও গা-ব্যথায় আক্রান্ত নতুন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। আর ওইসব রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে অক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বেশীর ভাগ রোগীই অল্প সময়ের চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৬৫ ভাগ পরিবারের কোন না কোন মানুষ সর্দি-জ্বর ও গা-ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন বলে তাদের ধারণা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক উপজেলার গ্রাম গুলোতে সর্দি-জ্বর ও গা-ব্যথা রোগে অক্রান্ত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘সর্দি-জ্বর আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেশীর ভাগ রোগী স্থানীয় ভাবে পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অল্প সংখ্যক রোগী হাসপাতালে আসলেও তারা নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজি হন না।