স্টাফ রিপোর্টার
লোহাগড়ায় কবি অরবিন্দ আচার্যসহ ৭জন বিশিষ্ট কবির যৌথ কাব্য সংকলন সপ্তর্ষি’র প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবি অরবিন্দ আচার্য যৌথ কাব্য সংকলনের অপর কবিদের মধ্যে অন্যতম এবং লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক। গত শনিবার বিকালে স্থানীয় রামনারায়ন পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে কবির গুনমুগ্ধ প্রাক্তন ছাত্ররা তাঁর প্রথম প্রকাশিত এ কাব্য সংকলনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস। অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ও সপ্তর্ষি’র লেখক কবি অরবিন্দ আচার্য তাঁর কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্তু তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তিনি ছাত্রদের এ আয়োজনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন-শিক্ষক হিসাবে জীবনে অনেক সম্মান পেয়েছি যা বাকী ছিল আজ তা পূর্ণ হয়ে গেল। পরে তিনি বিশিষ্টজনদের হাতে তাঁর কবিতার বই তুলে দেন।
নড়াইল আব্দুল হাই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মলয় নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা জাসদের সভাপতি ও লোহাগড়া গণনাট্য সংস্থার সভাপতি এ্যাড. আব্দুস ছালাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, ইতনা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক খান আমিরুল ইসলাম, লে. কমান্ডর (অব.) মুন্সি এ এম আব্দুল্লাহ, সাবেক প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস, লোহাগড়া সাহিত্য পরিষদের সভাপতি সরদার গোলাম মোস্তফা, সহকারি শিক্ষক উত্তম কুমার দাস, কবি বিএম লিয়াকত হোসেন, কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস প্রমুখ। এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস কবির বহুমুখি প্রতিভার কথা উল্লেখ করে বলেন ‘অরবিন্দ বাবু আমার দাদা। তিনি শিক্ষক হিসাবে যেমন সফলতা অর্জন করেছেন তেমনি রাজনীতির মাঠেও কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সফল মানুষ। আমি তাঁর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। আমি এই কবিতা সংকলনের অধিকাংশ কবিতাই পড়েছি। সত্যিই কবিতাগুলি মান সম্মত হয়েছে’। এ্যাডঃ আবদুস ছালাম খান বলেন ‘অরবিন্দ আচার্য আমার সরাসরি শিক্ষক। লোহাগড়ায় যে ক‘জন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ আছে অরবিন্দ স্যার তাদের অন্যতম। তিনি শতবর্ষ স্মরনিকায় লোহাগড়া পাইলট হাই স্কুল ও রামনারায়ণ পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস লেখার কথা উল্লেখ করে তাঁকে লোহাগড়ার অন্যান্য প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলির ইতিহাস লিখে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অন্যথায় লোহাগড়ার পরবর্তী প্রজন্ম লোহাগড়ার প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হবে’। অন্যান্যরা প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ ও কবির ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন।