স্টাফ রিপোর্টার
ইউপি নির্বাচনে বিরো/ধের ঘটনায় শনিবার (১৯ মার্চ) নড়াইলের কালিয়ায় এক কৃষক দম্পতিকে ধা/রালো অ/স্ত্র দিয়ে এলোপা/তাড়িভাবে কু/পিয়ে গুরু/তর জখ/ম করে চাঁচুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌরুত মোল্যা ও তার সহযোগিরা।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও আইনি সহায়তার পরিবর্তে উল্টো ভিক/টিমকে হাসপাতাল থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আটক করে কা/রাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা প্রধান আসামী হওয়ায় উল্টো মিথ্যা মা/মলায় ফাঁ/সিয়ে দিয়েছে ভিক/টিমদেরকে।
অভিযোগে জানা গেছে, রোববার সকালে পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে আহত কৃষক জান্নাত মোল্যাকে (৪৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোরপূর্বক আটক করে। পরে বিকালে অসুস্থ্য কৃষককে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, হাম/লা করেও মামলা না হওয়ায় হা/মলাকারীরা হুম/কি-ধা/মকি আর কটু কথায় অতিষ্ঠ করে তুলছে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও কোনো সুরাহা পাচ্ছে না কৃষকের পরিবার।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শীলা বেগম বলেন, ‘আমাদেরকে নির্ম/মভাবে কু/পিয়ে গুরু/তর জ/খম করেও মাম/লা না নেয়ায় তৌরুত মোল্যা ও তার সহযোগিরা উল্টো আমাদেরকে মিথ্যা মাম/লায় ফাঁ/সিয়ে দিয়েছে। ভ/য়ভী/তি দেখাচ্ছে আমরা যাতে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যাই, সেই জন্য কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। আহত স্বামী কারাগারে, আমি হাসপাতালের বিছানায় কা/তরাচ্ছি। এখন আমি নিরুপায়, কী করব কিছুই বুঝতেছি না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলার চাঁচুড়ী ইউপি নির্বাচনে যুবলীগ নেতা তৌরুত মোল্যা বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকালে জান্নাত মোল্যা তার বিপক্ষে কাজ করেন। সেই বিরো/ধের জের ধরে শনিবার সকাল ৭টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জান্নাত মোল্যার বসত বাড়িতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কা/টাকা/টির এক পর্যায়ে তৌরুত মোল্যার নেতৃত্বে একদল দু/র্বৃত্ত ধারা/লো অ/স্ত্র দিয়ে জান্নাত মোল্যা ও তার স্ত্রী শীলা বেগমকে কু/পিয়ে গুরুতর কা/টা জখ/ম করে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদেরকে উ/দ্ধার করে প্রথমে নড়াইল সদর ও পরে খুমেক হাসপাতালে পাঠায়। নড়াইল পুলিশ সুপার (এসপি) প্রবীর কুমার রায় বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। উভয়পক্ষ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে অন্য পক্ষের মাম/লা নেয়া হবে।’