স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপ একই সময়ে ও একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী দিয়েছে। ফলে বিএনপির দুইগ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নড়াইল জেলার ৭টি ইউনিট বিএনপির ইফতার মাহফিল ও বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগামি ২৬ এপ্রিল জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নড়াইল পৌর ও সদর থানা বিএনপির ইফতার এবং বর্ধিত সভা, ২৮ এপ্রিল লোহাগড়ার নিরিবিলি পিকনিক স্পটে লোহাগড়া পৌর ও লোহাগড়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভা এবং ২৯ এপ্রিল কালিয়ায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কালিয়া পৌর, কালিয়া থানা ও নড়াগাতি থানা বিএনপির সভার অনুমতি চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন। অপর দিকে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক সমর্থিত গ্রুপ পাল্টা হিসেবে একই দিন ও একই স্থানে মাহে রমজানের ফজিলত ও ইফতার মাহফিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন। ২৬ এপ্রিল নড়াইল পৌর ও সদর থানা বিএনপির ইফতার এবং সম্মেলনের অনুমতি চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। একই দিনে একই স্থানে মাহে রমজানের ফজিলত ও ইফতার মাহফিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন সদর থানা বিএনপি নেতা সৈয়দ মোরশেদ তৌহিদ সোহেল ও খন্দকার কিয়ামুল হাসান।
২০২১ সালের ১৮ মে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৪টি থানা ও ৩টি পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বিএনপির একটি গ্রুপ এ কমিটির বিরোধিতা করে আসছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ১৬৪ সদস্য বিশিষ্ট নড়াইল জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠিত হয়। এর পর আর কমিটি গঠন করা হয়নি।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী বলেন, সম্মেলন না করে অযোগ্যদের নিয়ে ‘পকেট কমিটি’ ঘোঘণা করা হয়েছে। তিনি মেয়াদউত্তীর্ণ জেলা কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি দেয়ার আহবান জানান। এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন বলে জানান।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা দলের ক্রান্তিকালীন সময়ে দলের পাশে ছিলেন এবং রয়েছেন তাদেরকে নিয়েই এসব ইউনিটের আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। গুটিকতোক ব্যক্তি যারা এসব কমিটির বিরোধিতা করছেন তারা দলের কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। তাদেরকে দলের কোনো কর্মকান্ডে দেখা যায় না। উল্টো দলকে ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ২৬, ২৮ ও ২৯ তারিখ প্রধানত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এখনও অনুমতি পাওয়া যায়নি। সামগ্রিক বিষয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতির উপর নির্ভর করছে।