স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ায় দুর্ধর্ষ চুরির মামলায় ৩ আসামী গ্রেপ্তার। উদ্ধার হয়নি মালামাল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী। মামলা সূত্রে জানা গেছে, থানা থেকে ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে লোহাগড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে গত ২২এপ্রিল রাত ০০.৪৫ ঘটিকা হতে ভোর ০৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত যে কোন সময় অজ্ঞাত চোর বা চোরেরা তার ভবনের নিজ তলায় মূল বারান্দার গ্রীলের গেটের তালা খুলে, ভিতরে প্রবেশ করে উত্তর পূর্ব কোনের কক্ষের ভিতরে ঢুকে কাঠের আলমারীর তালা খুলে আলমারীতে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১টি আইফোন যার মূল্য ২০হাজার টাকা, ১টি অব্যবহৃত আইফোন যার মূল্য ২০হাজার টাকা, ৪ ভরি ওজনের ৪টি স্বর্নের বালা যার মূল্য ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা, ২ ভরি ওজনের সোনার মান্তাস ১টি যার মূল্য ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা, ২.৫ ভরি ওজনের ১টি সোনার হার যার মূল্য ১লক্ষ ৭৫হাজার টাকা,৩.৫ ভরি ওজনের সিতা হার ১টি যার মূল্য ২লক্ষ ৪৫হাজার টাকা, ১ভরি ওজনের সোনার আংটিসহ ব্রেসলেট যার মূল্য ৭০হাজার টাকা, ১.৫ ভরি ওজনের ৩টি সোনার চেইন যার মূল্য ১লক্ষ ৫হাজার টাকা, ২ভরি ওজনের ৫ জোড়া কানের দুল যার মূল্য ১লক্ষ ৪০হাজার টাকা, ১.৫ ভরি ওজনের সোনার বাজুসহ ব্রেসলেট যার মূল্য ১লক্ষ ৫হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের ৩টি সোনার আংটি যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা। চুরি হওয়া মালের সর্বমোট মূল্য ১৫লক্ষ ৬০হাজার টাকা।বাদী ওইদিন বিকালে থানায় হাজির হয়ে একটি মামরা দায়ের করেন। লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলা নং ১৫, তারিখ ২২/০৪/২০২২ ইং। ধারা ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে লোহাগড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) কে এম তৌফিক আহমেদ টিপুকে।
তিনি জানান, এ মামলায় ৩জন আসামী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন মালামাল উদ্ধার করা যায়নি। এছাড়া গত ৪ মাসে পৌরসভার মধ্যে আরো ৫/৬টি দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হলেও ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করে আজ পর্যন্ত কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানা গেছে।