স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২২-২৩ একটি জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাব” পেশ করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জন্য ২০ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট করা হয়েছে।
রবিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অডিটরিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত জনগণতান্ত্রিক বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন শুরু করেনে। অনুষ্ঠিতব্য এ বিকল্প বাজেট অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪টি জেলা, ১০৭টি উপজেলা এবং ২১টি ইউনিয়ন হতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য̈বৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং জেলা সাংবাদিকবৃন্দ যুক্ত হন। নড়াইল থেকে এ বাজেট অনুষ্ঠানে যুক্ত হন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সহ সম্পদক, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর শাহানারা বেগম, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ্য প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু, নড়াইল কন্ঠের সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মহামন্দা, কভিড-১৯-এর মহামারি এবং ইউরোপে যুদ্ধের অনিশ্চিত-অভিঘাত হিসাবে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য যে বিকল্প জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাবের মোট আকার (পরিচালন ও উন্নয়ন মিলিয়ে) ধরা হয় ২০ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকা,যা চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) সরকার প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৩.৪০ গুণ বেশি।
গত বছরের মতো এবারের প্রস্তাবনাতেও আয়-ব্যয়ের খাতের পরিস্কার হিসাব দিয়েছে অর্থনীতি সমিতি। এতে বৈদেশিক লোনের কোনো অংশ নেই। সুদ-আসলসহ বৈদেশিক লোন থেকে মুক্ত হওয়াই এর উদ্যেশ্য।
সমিতির প্রস্তবনায় সরকারের রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৮লাখ ৭০ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বাজেট বরাদ্দের ৯১ দশমিক ২ শতাংশের যোগান আসবে রাজস্ব থেকে। বাকি ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা হবে বাজেট ঘাটতি।
প্রস্তাবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের উৎসের মধ্যে রয়েছে সম্পদ কর, অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর, পাচার হওয়া অর্থ ও কালো টাকা উদ্ধার করে প্রাপ্তি, বিদেশী নাগরিকদের ওপর কর, বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড থেকে আহরণ বৃদ্ধি ইত্যাদি।