গৌরীপুরে ধর্ষ/ণে অন্তঃস/ত্ত্বা প্রতিব/ন্ধী তরুণী! অতঃপর গ্রেপ্তার ধ/র্ষক স্বামী!

0
11
গৌরীপুরে ধর্ষ/ণে অন্তঃস/ত্ত্বা প্রতিব/ন্ধী তরুণী! অতঃপর গ্রেপ্তার ধ/র্ষক স্বামী!
গৌরীপুরে ধর্ষ/ণে অন্তঃস/ত্ত্বা প্রতিব/ন্ধী তরুণী! অতঃপর গ্রেপ্তার ধ/র্ষক স্বামী!

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ধর্ষ/ণে অন্তঃস/ত্ত্বা হয়ে পড়া এক প্রতিব/ন্ধী তরুণী (১৮) কে অ/পহরণের পর গ/র্ভপা/তের অভিযোগে খাইরুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে গ্রে/প্তার করেছে র‌্যাব-১৪। শনিবার (১১ জুন) রাতে গৌরীপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন খাইরুল ইসলামকে ময়মনসিংহের সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক রাজিব আহমেদ তালুকদার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) রাতে ভিকটিম তরুণীর মা বাদী হয়ে মোঃ খাইরুল ইসলাম, তার মা মদিনা আক্তার, চাচাসহ ৪ জনকে নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞা/ত ৩ জনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় একটি মাম/লা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই পুলিশ ও র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী খাইরুল ইসলামসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

এবিষয়ে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, মামলা দায়েরর পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ভিক/টিম তরু/ণীকে উদ্ধারসহ প্রধান আসামী খাইরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সকালে খাইরুল ইসলামকে আদালতে ও ভি/কটিম তরু/ণীকে ফরে/নসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভিকটি/ম তরু/ণী প্রতিব/ন্ধী। আনুমানিক ৭ থেকে ৮ মাস আগে খাইরুল ইসলাম জোড়পুর্বক ধর্ষ/ণ করে। সম্প্রতি ওই তরুণী অন্তঃস/ত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়লে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এঅবস্থায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ২৭ মে মধ্যরাতে খাইরুল ও সোহেল ভিকটিমের বাড়িতে ঢুকে তরু/ণীসহ তার মাকে অপ/হরণ করে নিয়ে যায়। অপহ/রণের পর ওই তরুণীকে আটকে রেখে তার মাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে ভিকটি/মের মা খাইরুলের মা বাবাকে ঘটনাটি জানানোর পরও কোন সুরাহা না হওয়ায় শনিবার (১১ জুন) ওই তরুনীর মা র‌্যাব-১৪ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেন। পরে র‌্যাবের পরামর্শে তরু/ণীর মা গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে খাইরুল ইসলাম ও তার চাচা আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তার করে। পরে আসাদুজ্জামানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত খাইরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং ১ জুন কোর্ট ম্যারিজ করে ওই তরুণীকে বিয়ে করেছেন বলেও জানান তিনি।

ভি/কটিম তরুণী নিজেকে ৭ মাসের অন্তঃস/ত্ত্বা হওয়ার দাবি করে সাংবাদিকদের জানান, অপহ/রণের পর খায়রুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে নিয়ে গ/র্ভপাত করায়। গর্ভপাতের পর তাকে বিয়ে করে খায়রুল।

তরুণীর মা সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিব/ন্ধী। এই সুযোগে খাইরুল ৭ থেকে আট মাস আগে তার মেয়েকে ধ/র্ষণ করে। মেয়ে এ ঘটনা এতদিন চেপে রাখে। সম্প্রতি তার শা/রীরিক পরিবর্তন হলে অন্তঃস/ত্ত্বা হওয়ার ঘটনাটি জানাজানি হয়।