স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের দিঘলিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবার ও মন্দির পরিদর্শন করেলেন৬ জন সংসদ সদস্য সহ ২ প্রতিমন্ত্রী।বাংলাদেশকে বিভাজন করে যারা ফায়দা লুটতে চায় এটা তাদেরই ষড়যন্ত্র। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এটা তাদেরই ষড়যন্ত্র। আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়া দিঘলিয়া সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহার পরিবারে যান, তাদের কথা শোনেন। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ অন্যদের সাথে কথা বলেন তিনি। যার জন্য এখানকার গরীব মানুষেরা দায়ী নয়। এর আগেসবাই ক্ষতিগ্রস্থ আখড়া বাড়ি সার্বজনিন দূর্গামন্দির পরিদর্শন করেন।
কোনো স্বজ্জন মুসলমান, সঠিক মুসলমান কারো বাড়িতে আগুন দিতে পারেন না। মুসলমান নাম থাকলেই তিনি মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহ’র বান্দা হয় না। মুসলমান যদি স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। আজকে শুধু সংখ্যালঘুনামের কারণে দরিদ্র মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এ হামলা ও ভাংচুরের নিন্দা জানাই।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। যারা এ ঘৃণিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্থির দাবি জানাই। আর এ ধরণের হামলা ঘটারপরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রিতার সৃষ্টি হয়। তাই এসব ঘটনা দুর্বৃত্তকারীদের উৎসাহ সৃষ্টিকরে। এক্ষেত্রে দ্রুত সকলকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের প্রতিশ্রুতি প্রদানকরেন।
আর স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্প্রতির এই জনপদে সকলেই নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণসহ অস্থান নিশ্চিত করার আহব্বান জানান।