গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
সড়কের পিচ, ইট, সুরকী উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত ও খানাখন্দ। সড়কে বৃষ্টির পানি জমে কাদা আর পানিতে একাকার। দু’পাশে সারিবদ্ধ পুকুরগুলো গিলে খাচ্ছে সড়ক। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন গর্তে আটকে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। ১০ কিঃ মিঃ এ সড়কে বর্তমানে প্রায় ২ কিঃ মিঃ বেহাল দশায় নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ। এলজিইডির অধীন ময়মনসিংহের গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের চিত্র এটি।
নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভায়া গৌরীপুর হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব ও চট্রগ্রাম এলাকার মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন সড়ক এটি। প্রতিদিন দুরপাল্লার বাস, বালুবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, লড়ি, অটোরিকশা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে থাকে এ সড়ক দিয়ে।
জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি নতুন করে মেরামত করা হয়। নিম্নমানের কাজ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারির অভাব ও দু’পাশে সারিবদ্ধ পুকুরের কারনে মেরামতের কিছুদিন পর স্থানীয় শুভখাই এলাকা থেকে শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃ মিঃ সড়কে পিচ, সুরকী, ইট উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্ত ও অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হলে পুনরায় তা সংস্কার করা হয়। বর্তমানে পূর্বের বেহাল অবস্থায় রূপ নিয়েছে এ সড়কটি। এক্ষেত্রে সড়কের পাশে পুকুর খনন বিরতকরনে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শুভখাই এলাকার স্থানীয় আব্দুল হকসহ কয়েকজন জানান, এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ২ কিঃ মিঃ বেহাল দশার কারনে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। তাঁরা এ বেহাল সড়কটির ঠেকসই মেরামতের জোরালো দাবি করেন।
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক জানান, এ সড়কটি টেকসই মেরামতকল্পে টেন্ডারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। শীঘ্রই এ সড়কটি মেরামত করা হবে। তিনি আরও বলেন- যাঁরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ সড়কটিকে পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করে সড়কের ক্ষতি সাধন করছেন, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ জানান, রাস্তাকে পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। রাস্তাকে যেন পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, প্রথমে এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।