নড়াইলে না/রীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, মামলা নেয়নি পুলিশ

0
8
সার ও বীজ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক নারীকে চাকরির প্রলো/ভন দিয়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে দুর্বৃত্তরা। গত সাতদিন ধরে কয়েকবার মুক্তিপন দাবি করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরেরদিন লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দিলেও গত সাতদিনেও মামলা নেয়নি থানা-পুলিশ। উদ্ধার হয়নি নারী।

আজ রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
ওই নারীর নাম স্মৃতি (৩০)। তিনি উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শেখপাড়া বাতাসি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী (হাটতে পারে না) আশরাফ শেখের স্ত্রী। আশরাফ শেখের দরিদ্র পরিবার। তাঁদের ১০ শ্রেণিতে পড়–য়া একটি মেয়ে ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া একটি ছেলে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান আশরাফ শেখ। ১০ শ্রেণিতে পড়–য়া তাঁদের মেয়ে ও গ্রামের প্রতিবেশিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আশরাফ শেখ ও তাঁর মেয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাকাটি করতে থাকেন এবং ওই নারীকে উদ্ধারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ শেখ বলেন, গত ৩০ জুলাই বিকেল চারটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তাঁর স্ত্রী স্মৃতি। তিনদিন পর থেকে ফোন করে দুর্বৃত্তরা টাকা দাবি করছেন পরিবারের সদস্যদের কাছে। আমার স্ত্রীকে আটকে রেখে তাঁকে দিয়ে ফোনে টাকা চাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ৩০-৪০ হাজার টাকা দিতে বলছে। এ টাকা না দিলে তাঁকে বিক্রি করে দেবে বলে জানাচ্ছে। সর্বশেষ ৫ আগস্ট টাকা চেয়েছে। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। টাকা দাবি করার রেকর্ড আছে পরিবারের সদস্যদের কাছে।

আশরাফ শেখ অভিযোগ করেন, গ্রামের যুবক আশিক শেখে চাকরির প্রলোভন দিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে। ওই যুবক এ ধরণের নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত। তিনি কয়েকজন নারীকে এর আগে ভারতে পাচার করেছেন।

আশরাফ শেখ অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার পরদিন ৩১ জুলাই লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। মামলাও হয়নি।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘অ্যাডাল্ট মেয়ে চলে গেছে, তাই মামলা নেয়নি। ওই নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছি।’