নড়াইলে খাবার বিতরণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষঃ আহত ৪ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মী

0
29
নড়াইলে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘ*র্ষে ৮ জন জখ*ম
সংঘ'র্ষ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে জেলা আ’লীগ কার্যালয়ে আ’লীগ নেতা সিদ্দিক আহম্মেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন শেষে খাবার বিতরণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মী। তারা সবাই নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহতরা হলেন নড়াইল পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রিয়াজ আহম্মেদ সজল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী তৌহিদুর রহমান সাগর, ফারুক হোসেন ও নাহিদুজ্জমান। এদের সবার বাড়ি শহরের ভওয়াখালী ও চরেরঘাট এলাকায়।

জানা গেছে, মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিষ্টির প্যাকেট বিতরণ শেষে অতিরিক্ত কয়েকটি প্যাকেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিনের কাছে ছিল। এ সময় কয়েক স্বেচ্ছাবেকলীগ নেতা-কর্মী তার কাছে প্যাকেট দাবি করলে তিনি প্যাকেট দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা বোরহানকে মারতে থাকে। খবর পেয়ে বোরহানের পক্ষের গ্রুপ আওয়ামী লীগ অফিসে ওঠার সিড়ির রেলিং ভেঙ্গে এসএস পাইপ নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। তবে আহতারা বলছেন তাদেরকে ছুরিকাহত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে নড়াইল সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি তারিকুজ্জামান উজ্জল এর সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লেিগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সিদ্দিক আহম্মেদেও ২য় মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রয়াতের সহধর্মিনী নড়াইল পৌর সভার মেয়ের আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহম্মদ আলী, আ’লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডু, নড়াইল সেচ্ছা সেবকলীগের সম্পাদক এস এম পলাশ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাঈম ভুইয়া প্রমুখ। পরে দোয়া অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যার দিকে অতিথিবৃন্দ দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে নীচে আসার পর এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা সবাই বলেন,জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি একটি গ্রুপ তাদের ওপর ছুরি দিয়ে আহত করে। খাবার বিতরণ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান। তবে এ ব্যাপারে বোরহান উদ্দিনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন, অনুষ্ঠানের পর খাবার বিতরণ শেষে আমি ও উপস্থিত আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতা দলীয় অফিসের নীচে আসি। এ সময় খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দু’পক্ষকে নিবৃত করি।

এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ নিয়ে কোনো মামলা বা কাওকে আটক করা হয়নি বলে জানান।