স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে গত সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতীক বরাদ্দের সময় মারামারির ঘটনায় দু’সদস্য প্রার্থীকে শোকজ করা হলে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্তরা এর লিখিত জবাব দিয়েছেন। এদিকে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু জানিয়েছেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় তার ৪জন সমর্থককে মারার ঘটনা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (২৬সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য পদপ্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের কাজ চলছিল। বেলা ১১টার দিকে সাধারণ-২নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী খোকন সাহা ও অপর প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের তালা প্রতীক দাবি করাকে কেন্দ্র করে দু’জন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এর কয়েক মিনিট পর সরকারি দল সমর্থিত কয়েক যুবক সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করা চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটুর প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ ৪-৫জনকে কিল-ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে মারধর করে।
এ সময় সম্মেলন কক্ষের কয়েকটি চেয়ার ও মাইক্রোফোন ভেঙ্গে যায় । পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফকরুল হাসান, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসসহ আ’লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দু’সদস্য জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে শোকজ-এর জবাব দিয়েছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, মারামারি ঘটনায় জড়িত দু’সদস্যের লিখিত জবাব পাওয়া গেছে, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।