ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চেয়ে ছিল আমাকেঃ মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম

0
3
ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চেয়ে ছিল আমাকেঃ মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম
ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চেয়ে ছিল আমাকেঃ মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার

তিন তিন বার ভোটের মাঠে আমার সাথে পরাজিত হয়েছে ওরা। নানা ভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেছে, সুবিধা করতে পারেনি। অবশেষে ষড়যন্ত্র করে আমাকে ও আমার দুই ভাইকে মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আল্লাহ্ ও গৌরীপুরের জনগণ আমার সাথে আছেন। ওদের সকল ষড়যন্ত্র মিথ্যা প্রমাণিত করে মহামান্য আদালত আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

জনগণের কাছে আমার এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়, আমি আজীবন আপনাদের সেবা করে যেতে চাই। আমি ও আমার পরিবার আজীবন আপনাদের কাছে ঋণী। কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম।

উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে সোমবার বেকসুর খালাস পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি গৌরীপুরে ফিরে আসেন। তাকে বরণ করতে শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ বাজারে সকাল থেকে অবস্থান করেন। মেয়র সেখানে পৌঁছলে বিজয়ের নানা শ্লোগান দেয় তাঁরা। এসময় শোভাযাত্রাটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক হয়ে গৌরীপুর পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেয়রের বাস ভবনে অবস্থান নেয়।

সেখানে কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ রফিকুল ইসলাম ফকির দিপু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, পৌর সভার প্যানেল মেয়র ১- নাজিম উদ্দিন, নারী কাউন্সিলর দিলুয়ারা আক্তার দিলু, রোজিনা আক্তার চৌধুরী মিতু, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মদন মোহন দাস, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান গোলাপ প্রমুখ।

এসময় পৌরসভার প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে মেয়রকে ফুলেল শুভেচছা জানান পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ১৭ অক্টোবর ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এ মামলার অন্যতম আসামি করা হয়েছিল গৌরীপুর পৌরসভায় মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েলকে। রায়ে তাঁরা তিনজনই খালাস পেয়েছেন। এতে সাত জনের মৃত্যুদণ্ড, তিন জনের যাবজ্জীবন ও নয় জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।