নড়াইলের পিরোলী-পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রার্থী সব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী

0
7
নড়াইলের পিরোলী-পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রার্থী সব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী
নড়াইলের পিরোলী-পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রার্থী সব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী

স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ২ নভেম্বর নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী এবং পাচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । নির্বাচনের ডামাডোলে মেতে উঠেছেন ইউনিয়নবাসি। দুইটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে কে নির্বাচিত হচ্ছেন ইতোমধ্যে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। হোটেল,রেস্তোরা এবং চায়ের টেবিলে ভোটের অঙ্ক মেলাতে তুমুল আড্ডা চলছে নেতৃস্থানীয় ভোটারদের মধ্যে। অবাধ,সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসনও প্রস্তুত।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,পিরোলী ইউনিয়নে ৯জন এবং পাচগ্রাম ইউনিয়নে ৪জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয়রা জানান,এরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,সমস্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারনা মাইক এবং শো-ডাউন বের করা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোড়ে মোড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। দুটি ইউনিয়নের একাধিক প্রবীন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতীকে নয়,নির্বাচন হবে ব্যক্তি ইমেজে। গত নির্বাচনও এভাবে হয়েছিল।

তারা বলেন,পিরোলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী নয় জন হলেও এখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো.আনিসুল ইসলাম(চশমা) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো.জারজিদ মোল্লা (ঘোড়া) জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সজিব মোল্লা (ঢোল))। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৭৫ জন।
পাচগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বাদশা মোল্লা (ঘোড়া ) সাইফুল ইসলাম (চশমা ),অশিক বিল্লাহ (মোটরসাইকেল) এবং বোরহান কবির (আনারস) এই চার জনের মধ্যে ভোট যুদ্ধ হবে। ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬ হাজার ৫৪৪ জন।

পিরোলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.আনিসুল ইসলাম বলেন, একটি পরিবারের অভিভাবক হচ্ছে বাবা-মা। সেই বাবা-মা নষ্ট চরিত্রের মানুষ হলে তার পরিবারের সদস্যরাও নষ্ট হয়ে যায়। তেমনি অবস্থা হয়েছে আমাদের পিরোলী ইউনিয়নের। তিনি বলেন,মাদক-সন্ত্রাস আর শয়তান বজ্জাতে ভরে গেছে ইউনিয়ন। ইউনিয়নের জনগন আমাকে নির্বাচিত করলে সন্ত্রাস,মাদক এবং শয়তানের আখড়া ভেঙ্গে দিয়ে সুন্দর পরিচ্ছন্ন এবং ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।

ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান থাকাকালীণ ইউনিয়নের রাস্ত-ঘাট,কালভার্টসহ বিভিন্ন স্থান উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। একটি কুচক্রিমহল আমার পেছনে লেগে কাজে বাধাগ্রস্থ করেছে। ইউনিয়নের যতটুকু উন্নতি করেছি আগামিতে নির্বাচিত হলে এ প্রজন্মের জন্য সুন্দর এবং বাসযোগ্য ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো।

সজিব মোল্লা বলেন, আমি জেলা পরিষদ সদস্য ছিলাম। একজন মানুষ একটি পরিষদের সদস্য হিসেবে যেটুকু কাজ করা প্রয়োজন আমি মনে করি তার চেয়ে বেশি করেছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বাসযোগ্য ইউনিয়ন গড়ে তুলবো। এ প্রজন্মকে আলোকিত পথ দেখাবো।