স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ শ্রমিক ইউনিয়ন ১২৯৫ নড়াইলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস স্মৃতি পর্ষদ, নড়াইলের আয়োজনে ২দিন ব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরে দোয়া ও প্রার্থনা, জাহাঙ্গির বিশ্বাসের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, শোকর্যালী, দোয়া, স্মরন সভা ও গণভোজ।
আজ শনিবার নড়াইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পার্শ্বে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের রুপগঞ্জ বাজার অফিস চত্বরে জাহাঙ্গির বিশ্বাসের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে একটি শোকর্যালী শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে ঐ স্থানে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা শরফুল আলম লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস,সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন খান নিলূ, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ সৈয়দ মোহম্মদ আলী, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ মাহামুদুল হাসান কায়েস, সংসদ সদস্য মাশরাফির পিতা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সমাজসেবক গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তুফায়েল মাহমুদ, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল সাহা, মিলন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক এস,এম,পলাশ, , বাংলাদেশ শ্রমিক ইউনিয়ন ১২৯৫ নড়াইলের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বিলো, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস এর বড় ছেলে রিজভী বিশ্বাস সহ অনেকে।
শোক র্যালীসহ সকল অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মি, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পরিবারের সদস্যরাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের অফিস কার্যালয় চত্বরে গনভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গির বিশ্বাস নড়াইল পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন ডেঙ্গূতে আক্রান্ত হয়ে ১৯২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন।
জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নড়াইল পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১১হাজার ২শ ৪৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি মৃত্যু আগ পর্যন্ত জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃনং-১২৯৫) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।