নড়াইলে বাড়ছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর নিষ্পত্তি হার, বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার হার

0
44
নড়াইলে বাড়ছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর নিষ্পত্তি হার, বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার হার
নড়াইলে বাড়ছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর নিষ্পত্তি হার, বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার হার

স্টাফ রিপোর্টার

সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে নড়াইল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞ আইনজীবীবৃন্দ ও মামলার পক্ষদের সাথে কথা বলে এবং আদালত চত্বর সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে বর্তমান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাঃ আমীনুল ইসলাম এ বছরের মাঝামাঝি সময় দায়িত্ব পালন শুরু করার পর থেকে বিচার প্রার্থীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন যার ফলশ্রুতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নিষ্পত্তিসহ সেবার মান।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাঃ আমীনুল ইসলাম নিয়মিত বিরতিতে আদালতের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কোর্ট পুলিশদের নথি ব্যাবস্থাপনাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করেন। প্রচলিত প্রশিক্ষণ পদ্ধতির বাইরে গিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতির সাহায্যে আয়োজিত পেপারলেস এই সকল প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষনার্থীর শেখার ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়েছে বলে জানা গেছে।

তিনি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করার পর সকল নাগরিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও আদালত সংক্রান্ত সেবা ও তথ্য প্রদান এর জন্য নড়াইল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন স্টাফ কর্তৃক জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তথ্য কেন্দ্রে অবস্থান পূর্বক আদালত সংক্রান্ত তথ্য সেবা প্রদান শুরু করেন।

গত মাসে তিনি সর্বপ্রথম নড়াইল হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব অর্পণ করে অফিস আদেশ করেন। এরপর হাজতখানার সেবার মান অনেকগুন বৃদ্ধি হয়েছে। নড়াইল আদালত হাজতখানায় এখন উন্নত ওয়াশরূম, বিশুদ্ধ পানি পান করার স্থান, নামাজ আদায় করার স্থান, হাজতীদের বসার জায়গা, কার্পেটিং, পাঠাগার, বই পড়ার স্থায়ী টেবিল ও টুল এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আদালতে আগত হাজতী আসামীদের জন্য তাঁর গৃহীত এই সকল মানবিক উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

তিনি বহুদিন ধরে জরাজীর্ন অবস্থায় থাকা পুরোনো ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনায় এখন পুরোনো ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মহিলা স্টাফদের জন্য ওয়াশ রূম তৈরীসহ পুরোনো সকল কক্ষ সংস্কারের কাজ চলছে। এছাড়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বাজেট, স্টাফদের সকল তথ্য, লাইব্রেরী এর সকল বই এর তালিকার ডাটাবেজ তৈরির কাজ তাঁর নির্দেশনায় শুরু হয়েছে।

আদালতের কজলিস্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ৫ টি আদালতে বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ১২২, ২২৪ ও ১৫০। তার বিপরীতে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৫২, ৩১১ ও ২৬৫ যা প্রাপ্তির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এভাবে মামলা নিষ্পত্তি হতে থাকলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার সংখ্যা অনেক হ্রাস পাবে।