স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে খড়রিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসলাম হোসেন (৫০)কে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোঃ আসলাম হোসেন খড়রিয়া গ্রামের মৃতঃ আয়নাল হক মোল্যার ছেলে। তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালের ২৭ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলরা ১১নং পেড়লী ইউনিয়নের খড়রিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসলাম হোসেন জানান,গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে খড়রিয়ার পোল বাজারের উত্তর পাশের মধুর চায়ের দোকান থেকে যাওয়ার পথে একই গ্রামের সাহেব আলী মীরের ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন মীর (৩০),তানভীর মীর,তারেক মীর,রিজাল মোল্যার ছেলে সোহাগ মিনা (২২), সলেমান মিনার ছেলে ইসহাক মিনা (৪০),মুন মিনা (২৮), মৃত তারেক মীরের ছেলে সনেট মীর(২৮) সহ ১০/১৫ জন মিলে আমাকে ঘিরে ফেলে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে ও হাতুড়ি, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম ও আহত করে । এতে করে আমার পাজরের হাঁড় ভেঙ্গে যায়।
তিনি আরো জানান,গত বছর ২রা নভেম্বর পেড়লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোঃ জারজিদ হোসেন চেয়ারম্যানের পক্ষে নির্বাচন করায় পরাজিত ঢোল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামিউল আলম সজিব এর লোকজন আমাকে মেরে ফেলার জন্য এ হামলা চালায়। আমি আমার নিরাপত্তা চাই। বিচার চাই।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ বিশ্বজিত সাহা বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে কোপের ও আঘাতের চিহ্র পাওয়া গেছে। এক্সেরে করতে দেওয়া হয়েছে রিপোর্ট দেখে বলা যাবে হাড় ভেঙ্গেছে কিনা।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত শেখ তাসমীম আলম বলেন, আমরা আমাদের পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। এবং তাৎক্ষনিত ভাবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। তারা এলাকাতে নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।