নড়াইলে ক্ষেতজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি

0
19
নড়াইলে ক্ষেতজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি
নড়াইলে ক্ষেতজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি

স্টাফ রিপোর্টার

ক্ষেত জুড়ে দোল খাচ্ছে মনকাড়া সূর্যমুখী ফুল। ক্ষণে ক্ষণে পাখি আর কীটপতঙ্গের দল ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। এযেন অপরূপ এক দৃশ্য। সূর্যমুখী ফুল বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা পথচারীদের আকৃষ্ট করছে ওই সুন্দর দৃশ্য। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে লিয়াকত হোসেন (৩৫) নানা ফসল ফলানোর পাশাপাশি মনকাড়া সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। এ ফসলের দানা থেকে উৎপাদন হয় ভোজ্য তেল। চলতি বছরে তেলবীজ সরকারের কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দিয়ে এ ফুলের চাষ করা হয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের ভদ্রডাঙ্গা গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, এ গ্রামের বিলে যেন টগবগ মেজাজে সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী ফুল। ক্ষেতের গাছে ফুলে বীজ আসা শুরু হয়েছে। ক্ষেতের সূর্যমূখীর সবুজ গাছে বড় গোলাকারের হলুদ ফুল চারিদিকে যেন এক অপরূপ দৃশ্য ছড়িয়েছে। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য পিয়াসু মানুষ সূর্যমুখী ফুলের এ দৃশ্য দেখতে আসছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী ফুল সারা বছরে চাষ করা যায়। সূর্যমুখী সাধারণত সব মাটিতে আবাদ করা যায়। এর বীজ সারিতে বুনতে হয়। হেক্টারপ্রতি ৮ থেকে ১০ কেজি বীজ লাগে। বীজ বোনা থেকে প্রায় ১০০ দিনের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। এ ফসল থেকে তেল উৎপাদন ছাড়াও গরু-মহিষের খাবার হিসেবে খৈল তৈরি হয়ে থাকে। এর গাছও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সূর্যমুখী ফুল চাষী লিয়াকত হোসেন বলেন, আমি এই প্রথম ২৪ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী লাগিয়ে ছিলাম। এটা চাষ করতে তেমন কোনো কষ্ট নাই,খুব সহজেই এটি চাষ করা যায়। এবার দেখব ফলন কেমন হয়। ফলন ভাল হলে পরবর্তীতে বড় পরিসরে চাষাবাদ করার চিন্তা রয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, সূর্যমুখী ফুলের চাষ অত্যন্ত লাভজনক। সূর্যমুখী চাষের বিস্তার ও জনপ্রিয়তার উদ্দেশ্যে কৃষি বিভাগ নানাভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের সূর্যমুখীর বীজ সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের আরও লাভবান করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।