স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ও বাস্তবায়নে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর ৪০ কিঃমিঃ কচুরিপানা পরিষ্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নড়াইল শহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় শেখ রাসেল ব্রিজের নিচে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশানের সহ-সভাপতি শামীমুল ইসলাম টুলুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন,নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশানের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম অনিক,নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু,ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কাজী হাফিজুর রহমান।
সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামের জেলা উজ্জ্বল সরকার বলেন, দীর্ঘ ৪০ কিঃমিঃ এলাকার কচুরিপানা মোটা দড়া-কাছি ও কলা গাছ জোয়ারের সময় বিভিন্ন জায়গায় বাধ দিয়ে কৌশলে নদীর ভাটার সময় দক্ষিনাঞ্চল খুলনার রূপসা নদীর লোনা পানিতে পাঠানো হবে। তাহলে লোনা পানিতে এসব কচুরিপানা মরে যাবে।
জানা যায়, বর্ষকালে মাগুরার নাড়িখালী, বিনোদপুর, নড়াইলের ছাতরা, ধোপাদা ও বাড়িভাঙ্গা খালের কচুরিপানা আশ্বিন-কার্তিক মাসে খাল থেকে এ অঞ্চলের নবগঙ্গা ও চিত্রা নদীতে নেমে আসে। কিন্তু পর্যাপ্ত জোয়ার-ভাটা না থাকায় এসব কচুরিপানা দক্ষিণের লোনা পানিতে নামতে না পারে না। উল্টো কচুরিপানা আরও বংশবিস্তার করে। ফলে নড়াইলের মিঠাপুর, নলদী, জয়পুর, রতডাঙ্গা, নড়াইল শহর এলাকা, গোবরা, খড়রিয়া এলাকায় বছরের অর্ধেকের বেশী সময় কচুরিপানায় ভরে থাকে। ফলে নড়াইলে পণ্যবাহী ট্রলার, কার্গো, নৌকা চলাচল করতে পারে না। মাছ ধরতে না পারায় জেলেরাও হয়ে পড়ে বেকার। এছাড়া নদীর তীরে গড়ে ওঠা নড়াইলের চিত্রা রিসোর্ট এবং ডিসি পার্কে আসা অসংখ্য পর্যটক এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌ-পথে ভ্রমনে আসতে পারে না। নদী তীরবর্তী প্রায় ২৫টি ঘাটের মানুষ সময়মতো নদী পারাপার হতে পারে না। আবার নদীর নব্যতাও নষ্ট হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নড়াইল পৌরসভার সহায়তায় চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ কচুরিপানা পরিস্কার কাজ শুরু হয়েছে।