স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের নড়াগাতীর থানার বাগুডাঙ্গা গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি দোকান এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ থানায় দায়ের করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নড়াইলের বাগুডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বায়জিদ মোল্যা এবং আমিনুল কাজী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাগুডাঙ্গা বাজারে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে বায়জিদ মোল্যা (৩৫) সহ তার পক্ষের শওকাত শিকদার (৫৫), আকি মোল্যা (৪৮), মুন্না (২০), ইউনুচ মোল্যা (৪২), ইয়াছিন মোল্যা (৩৭), হায়দার মোল্যা (৪৮), আলমতারা শেখ (৫৫) ও শাহজাহান মোল্যা (৪৫) সহ বেশ কয়েকজন হয়েছে।
এদিকে অপরপক্ষ আমিনুর কাজী প্রুপের মহিবুল শেখ (৬০), সাহেব শেখ (৪৫), এস্কেন শেখ (৩০), খোকা শেখ (৪০), শরীফুল কাজী (৪০), লাবলু কাজী (৫৫), মহিবুল শেখ (২০) সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতরা গোপালগঞ্জ ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একটি পক্ষের মাতুব্বর বায়াজিদ মোল্যা বলেন, হঠাৎ করে আমিনুল কাজীর নেতৃত্বে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমাদের ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। তিনটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি দোকান ভাংচুরসহ দুই লক্ষাধিক টাকা এবং দোকানের মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া শুক্রবার সকালেও আমাদের দুইজনকে ব্যাপক মারধর করেছে।
এদিকে অপরপক্ষের মাতুব্বার আমিনুল কাজী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়জিদ মোল্যার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমাদের লোকজনের ওপর প্রথমে হামলা করেছে। এ হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।
নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।