গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
তিন সন্তানের জননী শান্তনা আক্তারের (৩০) সঙ্গে স্থানীয় রুবেল মিয়ার (৪৪) দাম্পত্য জীবন প্রায় পনের বছরের। এ সময়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঘর সংসার করা অবস্থায় রুবেল বিয়ে করেন চারটি। সম্প্রতি করেন বিয়ে করেন আরও একটি। নতুন বিয়েতে বাঁধা দিলে গৃহবধূ শান্তনার উপর আমানবিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী। শান্তনার প্রতিবাদের মুখে এর মাঝে চার নারীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও সর্বশেষ নারীকে ছাড়তে নারাজ রুবেল। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শান্তনাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তার স্বামী, দেবর ও শ্বশুর।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নে খুদ কালীহর গ্রামে মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে এ নারী নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। আহত শান্তনা আক্তার গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি উল্লেখিত একই ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের লেবু মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বামী, শ্বশুর ও দেবরের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
শান্তনা বলেন- ‘আমার সঙ্গে রুবেলের বিয়ে হয় প্রায় পনের বছর আগে। আমি তার প্রথম স্ত্রী। দাম্পত্য জীবনে আমাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। আমাকে বিয়ের পর রুবেল দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও চারটি বিয়ে করে। এরপর আমার প্রতিবাদের মুখে ওই চার নারীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। প্রায় দেড় বছর আগে সর্বশেষ আরও একজন নারীকে বিয়ে করেছে রুবেল। এসব আসাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় ঘটনারদিন বেধড়ক পিটিয়ে আমাকে আহত করেন স্বামী, শ্বশুর ও দেবর।’ এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় রুবেল মিয়ার মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিবার কল করা হলে তার সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান- এ ঘটনায় থানায় এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ জমা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।