স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া বাজারের মোল্লা শপিং কমপ্লেক্সের দুইটি মোবাইলের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী দোকানদার হাদিউজ্জামান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত গভীর রাতে এ চুরি সংগঠিত হয়।
মোবাইল দোকানি বিসমিল্লাহ টেলিকম এর মালিক হাদিউজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিন দোকানে বেচাকেনা করে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে দোকানের সমস্ত মালামাল গুছিয়ে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পরদিন শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকায় দোকানে আসতে একটু দেরি হয়। কিন্তু এসে দেখি আমার দোকানে অন্য তালা মারা। তখন নিজের কাছে সন্দেহ মনে হয় এ সময় বাজার কমিটির সদস্যদের ডেকে নিয়ে আসি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ডাক দিয়ে তাদের সাথে নিয়ে তালা ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করি। দোকানে ঢুকে দেখি দোকানে থাকা আমার প্রায় ১৪০ পিস অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও দোকানের অন্যান্য মাল সামানা এবং নগদ টাকা কিছুই নেই। অন্যদিকে আমার পাশের দোকানি তাফাজ্জলের একই অবস্থা দেখতে পাই।
তোয়া টেলিকমের মালিক তাফাজ্জেল বলেন, আমার দোকানেরও একই অবস্থা দেখে লোকজন ডেকে তাদের সামনে তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে দেখি দোকানে থাকা নগদ টাকা, এন্ড্রয়েড ফোন এবং অন্যান্য মালামাল কিছুই নেই। এরপর বাজার কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি ও অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়ে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইবাদত শিকদার বলেন, বাজারে প্রতিদিনই পাহারাদার থাকে। গতরাতেও (বৃহস্পতিবার) ১৭ জন বাজারে পাহারা দিয়েছে। এর মধ্যে একজন পাহারাদার সভাপতি ইবাদত শিকদারের কাছে বলেন, গতরাতে আমরা পাহারা দিচ্ছিলাম এমন সময় একটি সাদা মাইক্রো এবং কয়েকজন লোক ব্যাগ নিয়ে মার্কেটের ভিতরে ঢুকেছে। আমরা মনে করেছি দোকানের মালিক। এজন্য তাদের কাছে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। বণিক সমিতির সভাপতি আরো বলেন,পাহারাদার তিনজনের কাছে এ সমস্ত কথা শোনার পর সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদেরকে লোহাগড়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, লোহাগড়া বাজার চুরি হওয়ার ঘটনাই একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।